কুয়ালালামপুর, মার্চ ২, ২০২৩ : মালয়েশিয়া হেলথকেয়ার ট্রাভেল কাউন্সিল এবং জিডি এসিস্ট লিমিটেড, বাংলাদেশ ক্রিকেট গভর্নিং বডির সাথে একটি সমঝোতা স্মারক (MOU) সই করেছে। যার মাধ্যমে বিসিবির সদস্য এবং জাতীয় দলের যেকোনো খেলোয়াড় খুব সহজে মালয়েশিয়ার বেসরকারি হসপিটাল এবং হেলথকেয়ার সেন্টার থেকে চিকিৎসা সেবা গ্রহন করতে পারবে। এটি ২০২২ সালে অক্টোবরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত তিনটি পক্ষের সহযোগিতা বিষয়ক মালয়েশিয়া হেলথকেয়ার বিজনেস ফোরামের বাস্তবায়ন ।

এমএইচটিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ দাউদ মোহাম্মদ আরিফ, জিডি অ্যাসিস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মঈনুদ্দিন আহমেদ এবং বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী এই সমঝোতা স্মারকের বাস্তবায়নের জন্য কাজ করেন ।

এই সমঝোতার মাধ্যমে কি কি সুযোগসুবিধা পাওয়া যাবে:


১.বিসিবি-র ক্রিড়াবিদগন এবং অন্য সদস্যরা মালয়েশিয়ার যেকোনো প্রাইভেট হাসপাতাল

ও মেডিকেল সুযোগ সুবিধা সহজে এবং নির্বিঘ্ন ব্যাবহার করতে পারবে । বিশেষ করে স্বাস্থ্য স্ক্রীনিং, সার্জারি এবং পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে।

২. মালয়েশিয়া হেলথকেয়ার এর পক্ষ থেকে জিডি এসিস্ট এর সহযোগিতায় বিসিবি এর ডাক্তার ও পিজিসিয়ানদের জন্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সেশন পরিচালনা করা হবে । মালয়েশিয়ান হেলথকেয়ার  শিক্ষা এবং জ্ঞান স্থানান্তর এর মাধ্যমে হেলথকেয়ার ইকোসিস্টেমকে ক্রমাগত উন্নত করতে  সক্ষম হবে ।

এমএইচটিসি-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ দাউদ মোহাম্মদ আরিফ বলেন,  সাম্প্রতিক কালে মালয়েশিয়া, বিদেশে স্বাস্থ্যসেবা নিতে আগ্রহী বাংলাদেশীদের কাছে একটি পছন্দের গন্তব্য হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। আমাদের সুন্দর দেশ উপভোগ করার পাশাপাশি বাংলাদেশিরা এখানকার চিকিৎসা সেবার উপর ভরসা করে এবং বিভিন্ন চিকিৎসা নিয়ে থাকে। আমরা বিসিবির সাথে এই কৌশলগত সহযোগিতা শুরু করতে পেরে আনন্দিত, যা বাংলাদেশের রোগীদের জন্য মালয়েশিয়ার বিশ্বমানের, সাশ্রয়ী মূল্যের এবং সহজলভ্য স্বাস্থ্যসেবা অফারগুলি   ব্যবহার করার পথ প্রশস্ত করবে। আমরা আশা করি যে, এই ধরনের অংশীদারিত্বের সাথে, আমরা মালয়েশিয়াকে আন্তর্জাতিকভাবে  ক্রীড়াবিদদের জন্য একটি স্পোর্ট মেডিসিন হাবের ভিত্তি  হিসাবে গড়ে তুলতে পারব।

বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী জানান, ক্রিড়াবিদ ও বিসিবির অন্যান্য সদস্যদের স্বাস্থ্য, সুরক্ষা, নিরাপত্তায় বিসিবি সবসময় সর্বোচ্চ এবং সেরা মেডিকেল কেয়ার  দিয়ে থাকে। সাম্প্রতিক সরেজমিনে পরিদর্শনে আমরা দেখেছি মালয়েশিয়ান প্রাইভেট হাসপাতাল, হেলথকেয়ার সেন্টারগুলো কি রকম মানের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করছে, আমরা খুবই আনন্দিত তাদের ব্যবস্থাপনা দেখে।  আমরা নিশ্চিত যে, এমএইচটিসি এর সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমাদের ক্রিড়াবিদ, খেলোয়াড়, এবং সদস্যরা মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা এবং পুনর্বাসন পরিষেবা পাবে।

মোহাম্মদ দাউদ আরও বলেন,  মালয়েশিয়া স্বাস্থ্যসেবার জন্য বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী ঘাঁটি, 2019 – 2022 সালে অনকোলজি, কার্ডিওলজি এবং প্রজনন চিকিৎসার জন্য  রোগীদের আগমনের শীর্ষ দশটি দেশের একটি হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। এই বছর, আমরা স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক স্টেকহোল্ডারদের সাথে আরও কৌশলগত সম্পৃক্ততা এবং অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এই বিশ্বাসকে শক্তিশালী করার চেস্টা করছি।  এর পাশাপাশি একটি নিরাপদ এবং বিশ্বস্ত স্বাস্থ্যসেবা গন্তব্য হিসাবে মালয়েশিয়ার অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করার জন্য অপেক্ষা করছি।

বাংলাদেশী রোগীদের জন্য মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্যসেবা এবং এর পরিষেবা সম্পর্কে তথ্যের জন্য, https://malaysiahealthcare.org/ ভিজিট করুন অথবা সোশ্যাল মিডিয়াতে যোগাযোগ করুন: www.facebook.com/MHTCMalaysia অথবা LinkedIn (Malaysia Healthcare Travel Council) এ।