১. রোগের জন্য ব্যবহার: ইন্ডেভার টেবলেট উচ্চ রক্তচাপ এবং এংজাইনা (Angina) এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এছাড়া মাইগ্রেন প্রতিরোধ এবং হাইপারথাইরয়েডিজমের চিকিৎসায়ও এটি ব্যবহৃত হতে পারে।
২. ফার্মাকোলজি: ইন্ডেভার টেবলেটের সক্রিয় উপাদান হল প্রোপ্রানলল (Propranolol), যা একটি বিটা-ব্লকার। এটি হৃদপিণ্ডের কাজের গতি কমিয়ে এবং রক্তনালীকে প্রশমিত করে রক্তচাপ কমাতে সহায়ক।
৩. বয়স অনুযায়ী ডোজ:
- ইন্ডেভার টেবলেট (Indever Tablet) Dosage & Administration:
১. উচ্চ রক্তচাপের জন্য (Hypertension):
- প্রাপ্তবয়স্ক: সাধারণত ৪০ মিগ্রা দিনে ২ বার। প্রয়োজন অনুযায়ী ডোজ ৮০ মিগ্রা দিনে ২ বার বা ৩ বার পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
- শিশু: ডোজ ওজন এবং চিকিৎসা প্রয়োজনে নির্ভর করে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডোজ নির্ধারণ করা উচিত।
২. এংজাইনার জন্য (Angina):
- প্রাপ্তবয়স্ক: ৪০ মিগ্রা দিনে ২-৩ বার। প্রয়োজন অনুযায়ী ডোজ ৮০ মিগ্রা দিনে ২-৩ বার পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
৩. মাইগ্রেন প্রতিরোধে (Migraine Prophylaxis):
- প্রাপ্তবয়স্ক: প্রাথমিক ডোজ ৮০ মিগ্রা দৈনিক, যা ৪০ মিগ্রা দিনে ২ বার খাওয়া যায়। প্রয়োজনে ডোজ ১৬০-২৪০ মিগ্রা দৈনিক পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
৪. থাইরোটক্সিকোসিস (Thyrotoxicosis):
- প্রাপ্তবয়স্ক: ১০-৪০ মিগ্রা দিনে ৩-৪ বার। ডোজ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্ধারণ করা উচিত।
৫. হার্ট অ্যারিথমিয়া (Cardiac Arrhythmias):
- প্রাপ্তবয়স্ক: প্রাথমিক ডোজ ১০-৩০ মিগ্রা দিনে ৩-৪ বার। প্রয়োজনে ডোজ ৪০ মিগ্রা দিনে ২-৩ বার পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
৬. মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন (Myocardial Infarction):
- প্রাথমিক ডোজ: হার্ট অ্যাটাকের পরে ৪০ মিগ্রা দিনে ৪ বার ২-৩ দিন ধরে। এরপর ৮০ মিগ্রা দিনে ২ বার খাওয়া যেতে পারে।
সেবনের নিয়মাবলী (Administration):
- ইন্ডেভার টেবলেট খাবারের আগে বা পরে, যেকোনো সময় খাওয়া যেতে পারে। তবে একে প্রতিদিন একই সময়ে খাওয়াই ভালো।
- টেবলেটটি সম্পূর্ণ গিলে ফেলতে হবে এবং চিবানো উচিত নয়।
- ডোজ মিস হলে, তা যত দ্রুত সম্ভব খেয়ে নিতে হবে। তবে পরবর্তী ডোজের সময় হয়ে গেলে মিসড ডোজ বাদ দিয়ে পরবর্তী ডোজ খেতে হবে।
- ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত ডোজ পরিবর্তন বা ওষুধ বন্ধ করা উচিত নয়।
৪. কোন কোন ওষুধের সাথে খাওয়া যাবে না: ইন্ডেভার টেবলেট নিচের ওষুধগুলির সাথে খাওয়া উচিত নয়:
- অন্যান্য বিটা-ব্লকার
- ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার
- অ্যান্টি-অ্যারিথমিক ড্রাগস
- নির্দিষ্ট ধরনের এন্টিডিপ্রেসেন্টস
৫. কোন কোন রোগীরা খেতে পারবে না: নিচের রোগীদের ইন্ডেভার টেবলেট খাওয়া উচিত নয়:
- ব্রাডিকাডিয়া (অতি কম হৃদস্পন্দন)
- হৃদযন্ত্রের গুরুতর সমস্যা
- অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা
- রেনাল বা হেপাটিক রোগের গুরুতর সমস্যা
৬. পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:
- মাথা ঘোরা বা ক্লান্তি
- ঠান্ডা হাত বা পা
- বমি বমি ভাব বা বমি
- পেটের ব্যথা
- নিদ্রাহীনতা বা স্বপ্ন দেখার সমস্যা
- বিষণ্ণতা
৭. প্রেগনেন্সি অবস্থায় খাওয়া যাবে কিনা: প্রেগনেন্সি অবস্থায় ইন্ডেভার টেবলেট সেবনের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। বিশেষ পরিস্থিতিতে এটি প্রয়োগ করা যেতে পারে, তবে ডাক্তারের অনুমোদন আবশ্যক।
৮. সেবনের পূর্বে সতর্কতা:
- ডায়াবেটিস থাকলে রক্তের গ্লুকোজ পর্যবেক্ষণ করা উচিত।
- কোন অস্ত্রোপচারের আগে ডাক্তারকে ওষুধ সেবনের বিষয়ে জানান।
- দীর্ঘমেয়াদী সেবন করলে হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা প্রয়োজন হতে পারে।
৯. কোন শ্রেণীর ওষুধ: ইন্ডেভার টেবলেট বিটা-ব্লকার শ্রেণীর ওষুধ।
১০. রাখার স্থান: ইন্ডেভার টেবলেট শুষ্ক এবং ঠান্ডা জায়গায় রাখতে হবে, যেখানে সরাসরি সূর্যালোক পৌঁছাবে না এবং শিশুদের নাগালের বাইরে রাখতে হবে।